মঙ্গলবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ১৫ ১৪৩২   ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২১৩

জমিদার বাড়ির উঠানে এখন শুকানো হচ্ছে গোবর 

মতলুব হোসেন , জয়পুরহাট

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের কড়িয়া সীমান্তের কোলঘেঁষে অবস্থিত লকমার জমিদার বাড়ি। এককালে এই জমিদার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে পায়ে জুতা পরে চলাচল করতে পারেনি কেউ।

 

পায়ের জুতা হাতে নিয়ে জমিদার বাড়ির সীমানা অতিক্রম করতে হয়েছে সবাইকে। প্রভাবশালী এই জমিদার বাড়ির উঠানে এখন এলাকার মহিলারা রান্না-বান্নার জ্বালানির কাজে ব্যবহিত গরুর গোবর শুকানো হচ্ছে। এছাড়া প্রাচীন আমলে নির্মিত ঐতিহাসিক ধ্বংসপ্রায় ও পরিতক্ত জমিদার বাড়ির উঠানে ও ছাদে গরু-ছাগল বিচরণ করে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পিলারের মাত্র ৪ গজ অ-দুরে অবস্থিত লকমার জমিদার বাড়িটি। ঐতিহাসিক ধ্বংশপ্রায় জমিদার বাড়িটি কে কবে নির্মাণ করেছে সঠিক ইতিহাস কেউ বলতে পারেনা।

 

তবে অনেকের ধারনা প্রায় ৪/৫শ’ বছর আগে কোন এক জমিদার বাড়িটি নির্মান করেছিল। প্রায় তিন একর জমির উপর পৃথক দুই ভাগে নির্মিত জমিদার বাড়িটি। লোহার রড ছাড়াই শুধু ইট, চুন ও সুরকী দিয়ে নির্মিত ৩’তলা বাড়ির একতলা অনেক আগেই দেবে গেছে মাটির নীচে। ২৫/৩০টি কক্ষ বিশিষ্ট জমিদার বাড়ির ভিতরে আছে ছোট ছোট কুঠরি বা কামরা।

এছাড়া হাতিশালা, ঘোড়াশালা ও কাচারিবাড়িও ছিল। রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে এখন শুধুই কালের সাক্ষী হয়ে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে জমিদার বাড়িটি। স্থানীয় আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলটন বলেন, প্রত্যন্ত গ্রাম ও সীমান্ত ঘেঁষা, নয়নাভিরাম প্রাচীনকালের স্থাপত্যের সৌন্দর্য মন্ডিত জমিদার বাড়িটি সংস্কার, যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন ও সঠিক পরির্চচা করা গেলে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করা সম্ভব হবে। নতুনপ্রজন্ম ইতিহাস জানার পাশাপাশি সরকারও পাবে রাজস্ব বলেন তিনি।
 

এই বিভাগের আরো খবর